প্রকাশিত: ০৮/০৭/২০১৬ ৯:৪৮ এএম

inaniউখিয়া নিউজ ডটকম::

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর, সুউচ্চ সবুজ পাহাড় বনানী ঘেরা উঁচু-নিচু পাহাড়ের গায়ে আঁকাবাঁকা মেঠোপথ। আকাশ, সাগর আর উপত্যকার মিলনমেলা উখিয়ার ইনানী বীচ প্রস্তুতি নিয়েছে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের বরণ করে নিতে। নগরের যান্ত্রিক জীবনের ক্লান্তি দূর করতে সারা বছরেই এখানে ছুটে আসেন অসংখ্য পর্যটক। আসন্ন ঈদুল ফিতরে লম্বা ছুটিতে নৈস্বর্গিক সৌন্দর্যের হাতে গড়া ইনানী বীচ এখন পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। কক্সবাজার কলাতলী মেরিন ড্রাইভ হয়ে মাত্র ৩০ মিনিট ও কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কের উখিয়া-কোটবাজার সৈকত রোড হয়ে এক ঘণ্টার দূরত্ব মনোরম পরিবেশে গড়ে উঠা ইনানী বীচ। এখানে পর্যটকদের আনন্দ বিনোদনের জন্য রয়েছে প্রকৃতির সৃষ্টি পাটুয়ারটেক পাথরের সঙ্গে নীল জলরাশিরর লুকোচুরি খেলা। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাষা আন্দোলনে ফেরারি আসামি হয়ে লুকিয়ে থাকা চোয়াংখালী আশ্রয়স্থল, কানা রাজার গুহা, পর্যবেক্ষণ টাওয়ার, পাহাড়ের নিচে লুকানো ঝর্ণা থেকে অবিরত ঝরেপড়া জলরাশির মন মাতানো আওয়াজ, মনখালীর পাহাড়ের চূড়ায় নির্মিত টংঘরে উপজাতীয়দের অভিনব বসবাস। সোনারপাড়া থেকে মনখালী পর্যন্ত ২৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বীচে ৫ পয়েন্টে রয়েছে সারি বাঁধা জেলে নৌকার ঘাট। উপকূলে নোঙর করা রংবেরঙের ফিশিং বোটগুলোকে যেন সাগর হাতছানি দিয়ে ডাকছে। কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের কাজ পুরোপুরি সম্পন্ন না হলেও এলজিইডি সড়কপথে সরাসরি বাস সার্ভিস থাকায় এখানে এসে পর্যটকরা সী-বীচ সড়ক দিয়ে অনায়াসে টেকনাফ ভ্রমণ করতে পারছে। তাই ইনানী বীচ অতি স্বল্প সময়ের মধ্যে সারা বিশ্বে বিশাল পরিচিতি লাভ করতে পেরেছে বলে পরিবেশবাদীদের অভিমত। সরজমিন ইনানী বীচ ঘুরে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা ধুয়ে মুছে আসবাবপত্র পরিষ্কার করছে। ইতিমধ্যে এলজিইডি সড়কের ভাঙাচুরা মেরামত কাজ সম্পন্ন করে যানবাহন চলাচলের উপযোগী করে তুলেছে। সী বীচ এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হোটেল মোটেল গেস্ট হাউসগুলো রংবেরঙের পতাকা দিয়ে পর্যটকদের আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেছে। ইনানী বে-রিসোর্টসের পরিচালক জাহাঙ্গীর জানান, দেশে কোনো ধরনের রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকায় ব্যবসায়ীরা এবার আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। বীচ ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ছৈয়দ হোছন জানান, বীচের অনতিদূরে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে তোলা হয়েছে তা সরকারিভাবে স্থাপনা নির্মাণ করা হলে পর্যটন পরিবেশ আরো একটু উন্নত হতো। বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাঈন উদ্দিন জানান, ইনানী বীচ পর্যটন বরণ করতে প্রস্তুত রয়েছে। এজন্য পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তায় টুরিস্ট পুলিশের পাশাপাশি ইনানী পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা কাজ করছেন।

পাঠকের মতামত

কক্সবাজারে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু, দৈনিক উৎপাদন ৩০ মেগাওয়াট

কক্সবাজার সদর উপজেলার বাঁকখালী নদীর খুরুশকুল উপকূলে বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়েছেছবি: প্রথম আলো কক্সবাজার সদর উপজেলার ...

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে টার্গেট কিলিং!

কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে চলছে ‘টার্গেট কিলিং’। ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড ...

জান্নাতুলকে খুনের কথা আদালতে স্বীকার করলেন কক্সবাজারের রেজা

রাজধানীর পান্থপথে আবাসিক হোটেলে চিকিৎসক জান্নাতুল নাঈম সিদ্দিকা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন ...